বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত জেলা ফরিদপুর। বর্তমান এই সেই ফরিদপুর যে নগরী বাংলার স্বাধীন সুলতানদের আমলে টাকশাল শহরের মর্যাদা লাভ করেছিল। এমনকি সুলতান সাইফুদ্দিন ফিরোজশাহ মালিক এর আমলে ১৮৮৯ হিসাব মোতাবেক ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৩ বছরের জন্য রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। খ্রিস্টীয় চর্তুদশ এর শেষের দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে জেগে ওঠা এই ভূখণ্ডে জনবসতির সূচনা হয়। বিভিন্ন জয় পরাজয়ের মাধ্যমে এ ফাতেহা বাদ ধীরে ধীরে ফরিদপুর নাম পরিগ্রহ লাভ করে। সম্ভবতঃ শের শাহের আমলে বা সমসাময়িক কালের কোন একজন ফরিদ নামীয় অলি আল্লাহর নাম অনুসারে এ নামের সূচনা হয়। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষাঙ্গন মেরুদন্ড তৈরির কারখানা এ জন্যই ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুর জেলায় বিগত ১ নভেম্বর ২০০২ জেলা পরিষদ মিলনায়তনের নামকরণ ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এস এ মান্নান স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু হয় এবং ১ জানুয়ারি ২০০৩ থেকে কলেজের ক্লাস ও কলেজে যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাস এবং শিক্ষা কার্যক্রম উন্নত হওয়ায় ৭ আগস্ট ২০০৮ সরকারি অনুমোদন লাভ করে। ক্যাডেট শিক্ষাকেই বেসরকারিভাবে বাস্তবে রূপ-প্রদানের জন্য বাংলাদেশে প্রথম ফরিদপুরে বেসরকারিভাবে ক্যাডেট শিক্ষা প্রদানে এস এ মান্নান স্কুল এন্ড কলেজের আর্বিভাব এবং কার্যক্রম অব্যাহত। ১৯৬৪ সালের ক্যাডেট কলেজ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ক্যাডেট কলেজ স্বায়িত্বশাসিত আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিম্নলিখিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। (এস এ মান্নান স্কুল এন্ড কলেজ বেসরকারি হলেও উক্ত অর্ডিন্যান্স এ পরিচালিত হচ্ছে) ক. একটি সুষ্ঠু উদারভিত্তিক পাবলিক স্কুল শিক্ষা প্রদান। খ. প্রাথমিক আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ প্রদান। গ. শিক্ষার যে সব শাখায় শিক্ষা দান করা প্রয়োজনীয় ও উপযোগী বলে ক্যাডেট কলেজ মনে করবে,সে সব শাখায় শিক্ষা দান। ঘ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলেজের লক্ষ্যসমূহ সম্প্রসারণকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম ও বিষয়াদি। উপরে উল্লেখিত কার্যাবলী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ক্যাডেট কলেজ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনের জন্য জাতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এক কথায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি কিশোরের দৈহিক, মানসিক, নৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় গুণাবলীর সুষ্ঠ বিকাশের সর্বপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।